Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

জাপানি ওষুধেই কাবু হবে করোনা ভাইরাস! বিপদের মাঝে বিজ্ঞানীদের দাবিতে স্বস্তি

রাজস্থানের চিকিৎসকদের দাবি, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া ও সোয়াইন ফ্লু'র ওষুধের ককটেলে রোগী সাড়া দিয়েছেন।

Japanese flu medicine 'clearly effective' in treating coronavirus
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 20, 2020 9:05 am
  • Updated:March 20, 2020 9:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে মাথাব্যথা কমছে না। তার মধ্যে খানিকটা স্বস্তির বার্তা দিচ্ছেন জাপানের গবেষকরা। জাপানের ম্যালেরিয়ার ড্রাগ ক্লোরোকুইনেই নাকি কমবে করোনা। জাপানের একদল বিজ্ঞানী পরীক্ষা করে কয়েকজনের উপর প্রয়োগও করেছেন। সুফলও মিলেছে বলে গবেষকদলের দাবি। সেই সঙ্গে সার্স-মার্স প্রতিরোধী ড্রাগ নিয়েও কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৪ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ যখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছিল, এই ড্রাগ সেই সময় বিজ্ঞানীদের বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছিল। নাম অ্যাভিগান। জাপানের ফুজিফিল্ম টোয়ামা কেমিক্যাল ২০১৪ সালে এই ড্রাগ বানিয়েছিল। করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপরও নাকি এই ড্রাগের প্রভাব সন্তোষজনক।

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সংক্রমণ কমছে হয় তিনদিনে। না হলে রোগী তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল দশায় পৌঁছচ্ছে ১১ দিনের মধ্যে। বিশেষ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের উপরও এই ড্রাগ প্রয়োগ করা হচ্ছে। চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক ঝ্যাং জিনমিন বলেছেন, “এই ড্রাগের সংক্রমণ-প্রতিরোধী ক্ষমতা পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। মানুষের উপর ৩৪০ বার ট্রায়ালও হয়েছে এই ড্রাগের। নিরাপত্তা উচ্চপর্যায়ের। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখনও ধরা পড়েনি।” বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যারাজাইকার্বোক্সামাইডের ডেরিভেটিভ হল এই ড্রাগ। পশুদের উপর পরীক্ষা করে এই ড্রাগের সুফল মিলেছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, হলুদ জ্বর, হাত ও পায়ের যে কোনও ভাইরাল ইনফেকশন কমাতে পারে এই ওষুধ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত আমেরিকা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নয়া আইন আনলেন ট্রাম্প]

অন্যদিকে, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া ও সোয়াইন ফ্লুর ড্রাগের ককটেল বানিয়ে শিরোনামে এসেছেন রাজস্থানের ডাক্তাররা। তাঁরা বলেছেন, সংক্রামিত রোগীর উপর ম্যালেরিয়ার ড্রাগ ক্লোরোকুইন প্রয়োগ করা হয়। এরপর দেওয়া হয় সোয়াইন ফ্লুর ওষুধ। তারপর রোগীকে দেওয়া হয় এইচআইভি ড্রাগ। তিন ড্রাগের ককটেলে রোগী সাড়া দিয়েছে খুব দ্রুত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চে এই চিকিৎসা পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন রাজস্থানের চিকিৎসকরা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ