সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীরে এসে তরি ডোবার আশঙ্কা। বন্দিমুক্তির কয়েক ঘণ্টা আগে গাজাকে হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসের হাতে কতজন পণবন্দি আটকে রয়েছেন এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তালিকা চাইলেন তিনি। স্পষ্ট জানালেন, হামাস এই বিষয়ে বিস্তারিত না জানালে যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয়। ফলে শেষ মুহূর্তে সব প্রচেষ্টায় জল পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয় ইজরায়েল-হামাস সংঘাত। তারপর থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করছিল কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো একাধিক দেশ। ইজরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিলেও যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয় আমেরিকাও। সেইমতো চলতি জানুয়ারি মাসেই মিশরের কায়রোতে আলোচনায় বসে হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সদর্থক হয়। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, আগামীকাল রবিবার তিন বন্দিকে মুক্ত করবে হামাস যার মাধ্যমেই শুরু হবে যুদ্ধবিরতি। ধাপে ধাপে ৩৩ জন বন্দিকে ইজরায়েলের হাতে তুলে দেবে হামাস। অন্যদিকে, জেলেবন্দি ২ হাজার জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্ত করবে ইজরায়েল। তবে শেষ মুহূর্তে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল ইজরায়েল।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে নেতানিয়াহু বার্তা দেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বন্দিদের তালিকা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধবিরতির পথে এক পাও হাঁটব না।’ একইসঙ্গে জানান, ‘ইজরায়েল কোনওভাবেই চুক্তি লঙ্ঘন সহ্য করবে না। এবং এই চুক্তি যদি শেষ পর্যন্ত না সফল হয়, তবে তার জন্য শুধুমাত্র দায়ী থাকবে হামাস।’ নেতানিয়াহুর এহেন হুঁশিয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্ব। শান্তির পথে অনেকখানি এগিয়ে আসার পরও নতুন করে যুদ্ধের মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার সময় ২৫০ জনকে পণবন্দি করেছিল হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে তাঁদের মধ্যে অনেককে মুক্তি দেওয়া হলেও ৯৮ জন বন্দি ছিল হামাসের হাতে। সম্প্রতি জানা যায়, তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন জীবিত রয়েছেন। তাঁদের মুক্তি দেবে হামাস জঙ্গিরা। বিনিময়ে ৪২ দিন গাজায় কোনও হামলা চালাবেনা ইজরায়েল। এভাবেই রচিত হয় চুক্তির পটভূমি। তবে নেতানিয়াহুর বার্তায় শেষ মুহূর্তে সব সম্ভাবনায় জল পড়ায় আশঙ্কা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.