BREAKING NEWS

১৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  রবিবার ২৮ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

সাঁতার শিখতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু মহিলার, প্রশিক্ষকের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন

Published by: Bishakha Pal |    Posted: August 7, 2019 1:49 pm|    Updated: August 7, 2019 8:31 pm

Woman drowns while taking swimming lesson in Krishnanagar

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর:  অফিস শেষ করার পর সাঁতার শিখতে গিয়ে  জলে ডুবে মৃত্যু হল  ডাক বিভাগের এক মহিলা কর্মীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা স্টেডিয়ামের পাশের একটি সুইমিং পুলে। ঘটনাটি নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সুইমিংপুলে সাঁতার শেখানোর  জন্য প্রশিক্ষক কি ছিলেন না?  যদি থাকে, তাহলে কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? এখনও পর্যন্ত অবশ্য মৃতের পরিবারের লোকেরা থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি বলেই খবর।

[ আরও পড়ুন: তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অশ্লীল পোস্টার, গ্রেপ্তার পুলিশ আধিকারিক ]

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অনন্যা দাস মণ্ডল।  বয়স ত্রিশ  বছর। বাপের বাড়ি কৃষ্ণনগর সেগুনবাগান পাড়া এলাকায়। তাঁর  বিয়ে হয়েছিল নবদ্বীপের  তমালতলা এলাকায়। কৃষ্ণনগরের জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনেই  রয়েছে জেলা স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়ামের পাশে   কৃষ্ণনগর ক্লাবের সুইমিং পুল। ওখানে সরকারি অফিসের কর্মীরা অনেকেই সাঁতার শিখতে যান। তিন মাস আগে সেখানে সাঁতার শেখার জন্য ভরতি হয়েছিলেন ডাক বিভাগের কর্মী  অনন্যাও।  অনন্যার স্বামী সব্যসাচী মণ্ডল কাস্টমস দপ্তরের কর্মী। 

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সাঁতার শিখতে গিয়ে জলে তলিয়ে যান অনন্যা। কিছুক্ষণ পর ভেসে ওঠে  তাঁর নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর পৌঁছে যায় জেলা প্রশাসনিক ভবনের কর্মরতা তাঁরই এক আত্মীয়ের কাছে। জল থেকে তুলে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। যদিও নিয়ে যাওয়া মাত্রই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শক্তিনগর হাসপাতাল থেকে বেশি অনন্যার বাপের বাড়ি খুব দূরে নয় । খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে পৌঁছে যান তাঁর বাড়ির লোকজন।

[ আরও পড়ুন: রাখির বাজারেও রাজনৈতিক লড়াই, ‘দিদি’কে পিছনে ফেলে হিট ‘মোদি’ ]

অনন্যার মামা শ্যামল বিশ্বাস বলেন, “অফিস শেষ হওয়ার পর আমার ভাগ্নি জেলা স্টেডিয়ামের পাশে সুইমিংপুলে সাঁতার শিখতে গিয়েছিল।  সেখানেই জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে  বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।  আমার আর এক ভাগ্নি  প্রশাসনিক ভবনে কাজ করে।  তার কাছ থেকে আমি খবরটি পাই। হাসপাতাল থেকেও ফোন এসেছিল। জেলা প্রশাসনের  একজন কর্তার গাড়িতে  আমার ভাগ্নিকে  হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমি এখনও বুঝতে পারছি না, সুইমিংপুলে প্রশিক্ষক থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটে গেল।” পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অনন্যার। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। খোঁজখবর নিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে