Advertisement
Advertisement

Breaking News

কমিশন

বিজেপির হয়ে কাজ করছে কমিশন! রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের

একাধিক ইস্যুতে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে, অভিযোগ ৬৫ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলার।

65 Retired IAS IFS IPS Central Service Officers write to President of India.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 9, 2019 8:53 pm
  • Updated:May 21, 2020 6:51 am

দীপঙ্কর মণ্ডল: নির্বাচন কমিশন শাসকদল বিজেপির হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি পাঠালেন ৬৫ জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস, আইএফএস ও আইপিএস আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি, যে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যে সংস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে দেশব্যাপী পক্ষপাতহীন নির্বাচন পরিচালনা করত, তারা আজ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়েছে। তাদের প্রতি দেশের মানুষের যে ভরসা ছিল তা হারিয়ে ফেলেছে।

[আরও পড়ুন-৫১৮ বছরের প্রথা ভেঙে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে প্রবেশ করেছেন মোদি, অভিযোগ কংগ্রেসের]

আমাদের মনে হচ্ছে কমিশনের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছে। যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। যেভাবে কেন্দ্রের শাসকদল বারবার আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার পরেও নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাতে আমরা হতাশ। তাই, এই ধরনের কিছু বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি আমরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন-পুণ্যার্থীর দুর্ভোগ, পান্ডারাজ এখন ভোট প্রচারের ইস্যু পুরীতে]

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭ মার্চ ২০১৯-এ ভারতের প্রথম অ্যান্টি-স্যাটেলাইট উইপন(এস্যাট)-র সফল উৎক্ষেপণের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে সময়ে এই ঘোষণা করা হল তা সন্দেহজনক। যেভাবে এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নরেন্দ্র মোদির ভক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পর যে ঘোষণা ডিআরডিও-র আধিকারিকদের করার কথা ছিল, তা কেন মোদিকে দিয়ে করানো হল তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন-ভোটের মুখে ছত্তিশগড়ে ভয়াবহ মাও হামলা, নিহত বিজেপি বিধায়ক-সহ ৬]

দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনও ঘটনা যখন ঘটেনি, তখন প্রধানমন্ত্রী নিজে একজন প্রার্থী হয়ে কীভাবে এই ধরনের ঘোষণা করতে পারেন। এবিষয়ে কমিশনের যুক্তি, যেহেতু সরকারি কোনও মাধ্যমের সাহায্যে এই ঘোষণা সম্প্রচারিত হয়নি তাই আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হয়নি। কিন্তু, আমাদের মনে হয় নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই ধরনের ঘটনায় আচরণবিধি ভঙ্গ হওয়ার পাশাপাশি অন্যায়ভাবে শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং এই বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত তাদের নীতির বিরুদ্ধে গেছে।

[আরও পড়ুন-বিজেপি কখনও ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি, দাবি রাজনাথের]

ওই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে তৈরি বায়োপিক ও তথ্যচিত্র প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে গত ২৬ মার্চ আমরা কমিশনকে একটি চিঠি পাঠায়। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি কমিশন। তাই আপনার কাছে আমরা অনুরোধ করেছি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখতে মানুষ কোনওরকম ভয় ও প্রভাব ছাড়া যাতে র্নিবিঘ্নে নিজের ভোটটি দিতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ