Advertisement
Advertisement
China

১৮ মাস পর ভারতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ চিনের, দিল্লি দরবারে এবার জিনপিংয়ের ‘বিশ্বস্ত’ ফেইহং

লাদাখে সেনা সংঘর্ষের অতীত কাটিয়ে অবশেষে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ইঙ্গিত চিনের।

After 18-month gap, China names new envoy to India amid strained ties
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:May 8, 2024 3:27 pm
  • Updated:May 8, 2024 3:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বরফ গলার ইঙ্গিত! পূর্ব লাদাখে (Ladakh) ভারত-চিন সেনা সংঘাতের অতীতকে পিছনে ফেলে এবার ভারতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে চলেছে চিন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দীর্ঘ ১৮ মাসের প্রতিক্ষার পর অবশেষে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হতে চলেছেন শি ফেইহং (Xu Feihong)। জানা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) আস্থাভাজন ও অত্যন্ত কাছের এই প্রবীণ কূটনীতিবিদ।  

এবিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা না হলেও চিনা বিদেশমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে এ খবর প্রকাশ্যে এনেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। জানা যাচ্ছে, শি ফেইহং এর আগে রোমানিয়া ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এবার তাঁকেই দিল্লিতে নিযুক্ত করতে চলেছে বেজিং। অবশ্য ফেইহং যে ভারতের রাষ্ট্রদূত হতে পারেন সে কথা প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল গত জানুয়ারি মাসে। তবে সেই সময়ে দুই দেশের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির জেরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত (China Ambassador) নিয়োগের সমস্ত প্রক্রিয়া ঝুলে থাকে। অবশেষে সেই জট কাটতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিভিন্ন শহর থেকে ভাড়া করে অভিনব পন্থায় গাড়ি চুরি! কলকাতা পুলিশের জালে মূলচক্রী]

ভারতের শেষ চিনা রাষ্ট্রদূত ছিলেন সান ওয়েনডং। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর মেয়াদ শেষের পর আর কোনও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ হয়নি ভারতে। বর্তমানে ওয়েনডং চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁর জায়গায় এবার দায়িত্ব নিতে চলেছেন শি ফেইহং। তবে চিনের তরফে রাষ্ট্রদূত ভারতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগে দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন কতটা স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে বাঙালি আবেগে সুড়সুড়ি? রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বাংলায় টুইট মোদির]

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রথমবার লাল ফৌজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় সেনার। এর পর ২০২১ ও ২০২২ সালে আরও ২ বার একই পরিস্থিতি তৈরি হয় লাদাখে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। সীমান্তে সেনা ও অস্ত্র মজুত করতে দেখা যায় দুই দেশকেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাদাখ সীমান্তে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন দুই দেশের সেনা কর্তারা। এর পর টালমাটাল পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় দুই দেশের মধ্যে। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে দিল্লি চিনা রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে উন্নতির ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ