সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : সাজার মেয়াদ ফুরোনোর পরেও পাকিস্তানে জেলবন্দি থাকা ১০ ভারতীয় নাগরিককে ফেরানোর উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এই বিষয়ে পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মৌখিকভাবে জানানোও হয়েছে ভারতের তরফে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন ও পাকিস্তানে জেলবন্দি থাকা কুলভূষণ যাদব-সহ মহম্মদ জাভেদ, আব্দুল হামিদ, মহম্মদ ইসমাইল ও সালফিকার আলিকে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দেওয়ার বিষয়েও নতুন করে দাবি জানানো হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের জেলে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও ভারতীয় মৎস্যজীবী এবং নাগরিকদের কেন বন্দি করে রাখা হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে পাকিস্তান হাই কমিশনের কাছে। পাশাপাশি তাদের খুব তাড়াতাড়ি যাতে ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয় তার দাবিও তোলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যে ভারত খুব চিন্তিত তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে স্পষ্টভাবে।
[আরও পড়ুন-প্রিয়াঙ্কাকে ‘স্কার্টওয়ালি বাঈ’ বলে কটাক্ষ, বিতর্কে বিজেপি নেতা]
২০১৬ সালে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান। পরে তাদের সেনা আদালতের বিচারক কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এরপরই আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। বর্তমানে কুলভূষণের মামলাটি সেখানে বিচারধীন রয়েছে। কুলভূষণ গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই ভারতের তরফে তাঁকে পাকিস্তানের জেলে বন্দি থাকা একজন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দেওয়ার দাবি তোলা হয়। যা আজও মেনে নেয়নি পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রী ‘জঙ্গি’, গোধরায় মুসলিম হত্যা প্রসঙ্গ তুলে মোদিকে কটাক্ষ নায়ডুর]
এছাড়া রাওয়ালপিন্ডির জেলে বন্দি থাকা দুই ভারতীয় নাগরিককে দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দেওয়ার দাবি জানানো হলেও পাকিস্তানের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার ভারতের তরফে ফের পাকিস্তানের জেলে বন্দি থাকা এই সমস্ত নাগরিকদের কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ ভারতীয় জওয়ান ও যুদ্ধবন্দি হিসেবে পাকিস্তানের জেলে থাকা ভারতীয়দের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে পাকিস্তানের হাই কমিশনকে চাপ দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সে দেশের সরকারের কাছ থেকে।