Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme Court

কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি বনাম বিচারপতি, বেনজির সংঘাতে সুপ্রিম হস্তক্ষেপ

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের বেনজির সংঘাত। স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত হল বিশেষ বেঞ্চ। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় মামলার শুনানি।

Justice versus Justice in Calcutta High Court Supreme Court intervenes । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 26, 2024 7:18 pm
  • Updated:January 26, 2024 8:36 pm

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের বেনজির সংঘাত। স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত হল বিশেষ বেঞ্চ। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় মামলার শুনানি। ওইদিন আদালত ছুটি। তবে পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে তাতে সময়ের দাবি মেনে সেদিনই বসবে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু রয়েছেন বিশেষ বেঞ্চে। 

উল্লেখ্য, সংরক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ছাত্রী। এই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। গত বুধবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের মৌখিক আবেদনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সে কথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে জানান রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতি মামলার লাইভ স্ট্রিমিং অথবা স্থগিতাদেশের কপি দেখাতে বলেন। লিখিত স্থগিতাদেশের কপি দেখাতে পারেননি আইনজীবী। কোনও মামলার কপি দেখাতে না পারলে কি তা গ্রহণযোগ্য, পালটা প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরই সিবিআইকে বিচারপতির নির্দেশ, “সমস্ত নথি নিয়ে এখনই এফআইআর করুন।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ১০ তলা থেকে ‘ঝাঁপ’ বধূর, দাম্পত্য অশান্তির জের?]

পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “বিচারপতি সৌমেন সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা।” এমনকি বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাও তিনি কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দেন। অর্থাৎ এই মামলায় সিবিআইকে তিনি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। দুই বিচারপতির এহেন বেনজির সংঘাতে এবার হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে ছিল মন্দির! রিপোর্টে জানাল ASI]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ