সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে তাদের তিন সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল পাকিস্তান। যদিও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে খবর ভারতীয় সেনা সূত্রে৷ সেনার সাফল্যকে ছোট করে দেখাতে ও নিজেদের সেনার মনোবল ধরে রাখতেই পাকিস্তান মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে বলেও দাবি।
প্রতিদিনই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় থাকা ভারতীয় আউটপোস্ট লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার ছোঁড়ে পাকিস্তান৷ এর জেরে গত কয়েকদিনে পাঁচ বছরের শিশু-সহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতেও পুঞ্চ সেক্টর সংলগ্ন জনবসতি এলাকায় প্রচুর গুলি ও গোলাবর্ষণ করে পাক সেনা। তাদের গুলিতে পুঞ্চ জেলার মানকোট সেক্টরে চারজন জখমও হন। পরে তাঁদের রাজৌরির জেলা হাসপাতলে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন-ওমরের ‘স্বাধীন কাশ্মীর’-এর মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ নেতা গম্ভীরের ]
এরপরই কড়া জবাব দিতে শুরু করে ভারত। সীমান্তের ওপারে থাকা পাকিস্তান সেনার পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে তারা। এর ফলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাখচিকরি সেক্টরে খতম হয় কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। গুরুতর আহত হয় আর এক পাক সেনা৷ পরে পাকিস্তানের তরফে তিনজনের মৃত্যুর খবর স্বীকারও করা হয়। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করা হয়েছে ভারতের তরফে।
[আরও পড়ুন-আলাদা কৃষক বাজেট থেকে অ্যাকাউন্টে ৭২ হাজার, ইস্তাহারে কল্পতরু কংগ্রেস]
এর আগে সোমবার পাকিস্তানি সেনার গুলিতে এই পুঞ্চ সেক্টরেই বিএসএফ-র একজন ইন্সপেক্টর ও পাঁচবছরের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়৷ জখম হন আরও চারজন। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জইশ ঘাঁটির উপর এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার আগে জানুয়ারি মাস থেকে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু ও কাশ্মীরের জনবসতি এলাকাগুলো লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। এর ফলে কাশ্মীরে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির একের পর এক বাড়ি ধ্বংস হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ছোঁড়া গোলায় নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ৬টি গ্রাম পুড়ে গিয়েছে৷