সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শূন্য পদে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে জটিলতা বাড়ল। এমনিতেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের আচমকা অবসরে রহস্য তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই মোদি সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner) নিয়োগের পরিবর্তিত পদ্ধতির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা উঠল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুরের কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করেছেন শীর্ষ আদালতে।
শনিবার পদত্যাগ করেছেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। অন্যদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আরেক নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে ৬৫ বছর বয়সে অবসর নেন। এর ফলেই কমিশনে দুটি শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে গোটা দায়িত্ব একা সামলাচ্ছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। গতকালই জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) পৌরহিত্যে আগামী ১৫ মার্চ বৈঠক হবে। সেদিনই দুই নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ হতে পারে। এর মধ্যেই ওই নিয়োগ পদ্ধতির বৈধতা নিয়ে মামলা উঠল।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জয়া সুপ্রিম কোর্টের ২০২৩ সালের একটি নির্দেশ উল্লেখ করেছেন পিটিশনে। যেখানে সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের পরামর্শেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে হবে। যদিও সংশোধিত পদ্ধতিতে ওই প্যানেল থেকে বাদ পড়েছেন প্রধান বিচারপতি। বদলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই নয়া প্যানেলের সাংবিধনিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা।
এদিকে অরুণ গোয়েল কেন আচমকা ইস্তফা দিলেন, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে। অনেকের দাবি, কে্ন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতবিরোধের জেরেই পদ ছেড়েছেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে ভিন্ন মত। কংগ্রেসের মামলার পর সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে সকলে। বর্তমান জটিলতায় ভোট পিছিয়ে যাবে না তো? এমন প্রশ্নও উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.