Advertisement
Advertisement

গোপন মার্কিন সেনাঘাঁটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে ভিনগ্রহের জীব নিয়ে!

এলিয়েনদের হামলা রুখতে পালটা প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা গড়ছে আমেরিকাও।

Aliens were here! Ex-USAF personnel reveals secret UFO base
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 3, 2017 9:26 am
  • Updated:November 3, 2020 8:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আকাশে একাধিকবার ভিনগ্রহের উড়ন্ত যান দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন একাধিক ব্যক্তি। কিন্তু কোনও দেশেরই প্রশাসন সেই দাবির সত্যতা স্বীকার করেনি। কিন্তু এবার এক গোপন মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ভিনগ্রহের প্রাণীদের এনে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় বলে দাবি তুললেন এক ইঞ্জিনিয়ার। যিনি নিজে ওই প্রকল্পের সঙ্গে ৩৯ বছর যুক্ত ছিলেন। এই বিষয়ে একটি বইও লিখছেন তিনি।

[পৃথিবী ছাড়াও অন্য গ্রহে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব? ভেসে এল রহস্যজনক রেডিও তরঙ্গ]

মার্কিন বায়ুসেনার ইঞ্জিনিয়ার রেমন্ড সিমানস্কি দাবি করেছেন, আমেরিকার বুকে যখনই কোনও ভিনগ্রহের মহাকাশযান ভেঙে পড়েছে, তখনই অত্যন্ত গোপনে মার্কিন গোয়েন্দারা সেই ধ্বংসাবশেষ সযত্নে তুলে এনে ওহাইওতে রাইট-প্যাটারসন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রেখেছেন। বাইরে থেকে ওই ঘাঁটি দেখতে যে কোনও সাধারণ বাড়ির মতোই। কিন্তু বাড়ির নিচে রয়েছে অজস্র টানেল। সেই টানেলগুলি গিয়ে মেশে একটি গবেষণাগারে, যেখানে ভিনগ্রহের রহস্যময় প্রাণীদের নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে। কেউ বাড়িটি খুঁজে পেলেও ওই টানেলের ম্যাপ না জানলে সারাজীবন দেখানেই ঘুরে মরে যাবেন! রেমন্ড দাবি করেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এলিয়েনদের বিষয়ে জানতে চাইলে, তাঁরা স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি।

Advertisement

AIR FORCE

Advertisement

কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম সপ্তাহেই রেমন্ডকে এমন কিছু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়, যেগুলি এর আগে পৃথিবীর বুকে কোথাও দেখা যায়নি। ১৯৪৭-এর ২ জুলাই নিউ মেক্সিকোর রসওয়েল টাউনে একটি রহস্যজনক উড়ন্ত যান ভেঙে পড়ার ঘটনায় বিশেষ চাঞ্চল্য ছড়ায় সংবাদমাধ্যমে। রেমন্ড দাবি করেছেন, ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকেও বেশ কয়েকটি ভিনগ্রহের প্রাণীর দেহ, তাদের মহাকাশযানের ভাঙা টুকরো উদ্ধার হয়। দেহগুলি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে এনে ময়নাতদন্ত করা হয়। যানটি পরীক্ষা করে দেখেন মার্কিন বৈজ্ঞানিকরা। ওই যানের নমুনা সংগ্রহ করে আমেরিকাও নতুন মহাকাশযান তৈরির কাজ শুরু করে দেয়। যদিও মার্কিন প্রশাসন সুকৌশলে গোটা ঘটনাটাই ধামাচাপা দিয়ে দেন। সত্তরের দশকে ধীরে ধীরে ওই ঘটনার কথা মানুষ ভুলে যান।

[পৃথিবীর শেষ দিন আসন্ন? আছড়ে পড়তে পারে বিশালাকায় গ্রহ!]

কিন্তু ২০১২-য় এক প্রাক্তন সিআইএ এজেন্টের বিস্ফোরক মন্তব্যে ফের শিরোনামে উঠে আসে রসওয়েল। ওই মার্কিন গোয়েন্দা বলেন, ‘রসওয়েল একটি সত্যি ঘটনা। আমেরিকার মাটিতে ইউএফও (অজানা উড়ন্ত যান) সত্যি ভেঙে পড়েছিল। তার উল্লেখ আমি নিজে সিআইএ-র ফাইলে দেখেছি।।’ অতুৎসাহীরা বলেন, মার্কিন গোয়েন্দারা সেদিনের দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভিনগ্রহের যে প্রাণীদের দেহ উদ্ধার করে এনেছিলেন, সেগুলি কাটাছেঁড়া করে বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তির সন্ধান মেলে। যার সাহায্যে মার্কিন প্রশাসন অত্যন্ত গোপনে ভিনগ্রহের প্রাণীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু করে। সিআইএ-র সদর দপ্তর ল্যাংগলেতে ওই ভিনগ্রহের যানের ধ্বংসাবশেষ গবেষণার জন্য রাখাও রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

alien

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ