Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kim Jong Un

কোমায় আচ্ছন্ন একনায়ক কিম, উত্তর কোরিয়ার রাশ ধরতে চলেছেন বোন ইয়ো

মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন উত্তর কোরিয়ার দাপুটে একনায়ক।

North Korea supreme leader Kim Jong Un severely ill: report
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 24, 2020 11:22 am
  • Updated:August 24, 2020 9:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কোমায় আছন্ন একনায়ক কিম জং উন। ফলে উত্তর কোরিয়ার শাসনভার আপাতত নিতে চলেছেন তাঁর বোন কিম জং ইয়ো। এবার পিয়ংইয়ংয়ের বিদেশনীতি, বিশেষ করে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেবেন ইয়ো। এমনটাই দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম দায় জংয়ের ঘনিষ্ট চাং সং-মিন।

[আরও পড়ুন: OMG! ইন্দোনেশিয়ায় দূতাবাস ভবন বিক্রিতে দোষী সাব্যস্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন চাং সং-মিন। সেখানে তিনি বলেছেন, “উত্তর কোরিয়ার কোনও নেতা স্বেচ্ছায় শাসনের রাশ অন্যের হাতে তুলে দেবেন না। যদিও না তিনি গুরুতর অসুস্থ হন বা সেন বিদ্রোহের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হন। আমার মনে হয় কিম কোমায় আচ্ছন্ন। তবে এখনও তাঁর মৃত্যু হয়নি। এখনও পরবর্তী শাসক নির্বাচন বা ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সম্পূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। যেহেতু বেশি সময় আসন ফাঁকা রাখা যায় না, তাই কিম জং ইয়োকে আপাতত সামনে আনা হয়েছে।”

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, একদা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম দায় জংয়ের রাজনৈতিক সচিব থাকার দরুন চাং সং-মিনের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উত্তর কোরিয়ার খবর তাঁর কাছে পৌঁছানো অসম্ভব কিছু নয়। মিন নিজেও দাবি করেছেন, চিনের এক গোপন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন গুরুতর অসুস্থ কিম (Kim Jong Un)।

Advertisement

এদিকে, পারিবারিক ধারা মেনেই কিম জং ইয়ো সম্পর্কে বেশি তথ্য জানা যায় না। তবে কিমের অসুস্থতার খবরের পর থেকেই ধোঁয়াশার পিছনে থাকা ৩৩ বছরের এই তরুণীই আন্তর্জাতিক মঞ্চে  আলোচনার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন। ২০১৮ সাল থেকেই উল্কাবেগে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন কিম জং ইয়ো। দাদা কিমের পরে বোন ইয়ো-এর হাতেই উত্তর কোরিয়ার শাসনভার যাবে বলে দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দাদা কিমের ‘চিফ অব স্টাফ’ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কিম জং ইয়ো। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোরিয়ার কিমের মিত্রতা স্থাপনের চেষ্টাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বোনের।

[আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল ‘বড় বিপর্যয়’, ঘোষণা ট্রাম্পের, মোকাবিলায় রাজকোষ থেকে অর্থদান]

এদিকে, সোমবার রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রয় কেলি নামে বিবিসি-র প্রাক্তন এক সাংবাদিকের দাবি, মারা গেছেন কিম। বর্তমানে তিনি উত্তর কোরিয়াতেই আছেন। তাঁর মতে, দেশে রাজনৈতিক তথা প্রশাসনিক স্তরে এতবড় একটি পরিবর্তন হতে চলেছে, তা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্যই নাকি কিমের মৃত্যুসংবাদ লুকোনো হচ্ছে। সেই সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ