Advertisement
Advertisement

Breaking News

মর্মান্তিক! জীবিত শিশুকেই ‘মৃত’ ঘোষণা বেসরকারি হাসপাতালে

ফের একবার কাঠগড়ায় বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা।

New Delhi: a leading private hospital declared a newborn dead while the baby still alive
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 1, 2017 2:46 pm
  • Updated:September 21, 2019 2:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার বিতর্কে দিল্লির বেসরকারি হাসপাতাল। এবার কাঠগড়ায় শালিমার বাগের ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল। জীবিত থাকা অবস্থাতেই সদ্যোজাতকে মৃত ঘোষণা করার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ নভেম্বর।

[দম্পতির ব্যাগে মিলল ২০০টি জ্যান্ত আরশোলা, তাজ্জব বিমানবন্দরের কর্মীরা]

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, দু’জন শিশুর মধ্যে একজন মৃত। অপরজন বেঁচে রয়েছে। তবে কিছুক্ষণ পরেই ফের জানানো হয়, অপর শিশুটিও মারা গিয়েছে। এরপরই দুই শিশুর মৃতদেহ প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় চমকে ওঠেন ওই পরিবারের সদস্যরা। প্লাস্টিকের ভিতর কোনও কিছু নড়াচড়া করার শব্দ শুনতে পেয়ে তাঁরা ততক্ষণাৎ সেটি খুলে দেখেন। দেখা যায়, দু’জনের মধ্যে একজন বেঁচে রয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি তাকে পার্শ্ববর্তী একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। অবস্থা কিছুটা হলেও আশঙ্কাজনক। আপাতত তাকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে।

Advertisement

[মাঝ আকাশে মানুষীকে কী পরামর্শ দিলেন সুস্মিতা?]

এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘ চিকিৎসকরা আমাদের জানান এক শিশু মৃত অবস্থাতেই জন্মেছে। আরেকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে এখনই ভরতি নিতে হবে। যার খরচ পড়বে দিনে এক লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে মোট ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। পরে চিকিৎসকরা জানান, দ্বিতীয় শিশুটিও মারা গিয়েছে। এরপরই তারা আমাদের হাতে দু’টি প্যাকেট দেন। যাতে ওই দু’জনের মৃতদেহ ছিল। এরপর আমরা মৃতদেহ দু’টিকে কবর দিতে নিয়ে যাই। কিন্তু যাওয়ার পথেই আমরা দেখি একটি প্যাকেটে একটি পা যেন নড়াচড়া করছে। সেটি খুলতেই আবিষ্কার করি শিশুটি বেঁচে রয়েছে। এরপরই আমরা তাকে পার্শ্ববর্তী নার্সিংহোমে ভরতি করি।’  ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের মুখপাত্র দীপেন্দ্র পাঠক বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অবহেলার কারণেই এটা ঘটেছে। আমার তাই ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করব। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেব।’ এদিকে, অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। জানানো হয়েছে, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে এবং ওই দম্পতিকে সবরকমভাবে সাহায্যও করা হবে।

Advertisement

[৪ হোক বা ৪০, নারীশরীর কোনওভাবেই শুধু যৌনতার সামগ্রী নয়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ