Advertisement
Advertisement
বিধায়ক

ভোটের আগে গুজরাটে ধাক্কা বিজেপির, আদালতের নির্দেশে পদ খোয়ালেন বিধায়ক

ওই আসনে পুননির্বাচনের নির্দেশ আদালতের।

Gujarat HC sets aside election of BJP’s Dwarka MLA Pabubha Manek.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 12, 2019 5:29 pm
  • Updated:May 20, 2020 11:21 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বারকার বিজেপি বিধায়ক পাবুভা মানেক-এর বিধায়ক পদ বাতিল করল গুজরাত হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। কংগ্রেস নেতা ও দ্বারকা বিধানসভার পরাজিত প্রার্থী মিরামন আহিরের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি পরেশ উপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন- প্রচারে সেনা ‘তাসে’ আপত্তি, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি ১৫৬ প্রাক্তন সামরিক কর্তার]

২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে সপ্তমবার জয়ী হন পাবুভা মানেক। এরপরই তাঁর মনোনয়নপত্র নিয়ম মেনে জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেন আহির। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে দ্বারকা থেকে সপ্তমবারের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেন পাবুভা মানেক। কিন্তু, তাতে যিনি ওই বিজেপির নেতার প্রস্তাবক হিসেবে সই করেছেন তিনি কোনও কেন্দ্রের নাম লেখেননি। ফলে ওই মনোনয়নপত্রটি অবৈধ। বিষয়টি ভোটের দিন প্রিসাইডিং অফিসারকে বললেও তিনি কোনও গুরুত্ব দেননি। তাই মানেক-এর বিধায়ক পদ বাতিল করে আহিরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন-১০০ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিল পাকিস্তান]

কয়েক মাস ধরে উভয় তরফের সাক্ষীদের বক্তব্য শোনার পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার বিচার শেষ করেন বিচারপতি পরেশ উপাধ্যায়। শুক্রবার চূড়ান্ত রায় দেন তিনি। তবে মানেক-এর বিধায়ক পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও, আহিরকে বিজয়ী ঘোষণা করেননি বিচারপতি। নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত দ্বারকার ওই আসনে পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ চেয়ে পালটা আবেদন করেছিলেন পাবুভা। উদ্দেশ্য ছিল, ওই চার সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা।  কিন্ত, তা মানেননি গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি পরেশ উপাধ্যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন- মহিলা ভোটারদের উৎসাহ দিতে কমিশনের হাতিয়ার ‘পিংক বুথ’]

২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন দুদফায় হয়েছিল। ৯৯টি আসন পেয়ে বিজেপি ষষ্ঠবারের জন্য ক্ষমতা দখল করলেও ৮০টি আসন পেয়ে ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছিল কংগ্রেস। দুপক্ষের মধ্যে কড়া টক্কর পরে বিজেপি পেয়েছিল ৪৯ শতাংশ ভোট ও কংগ্রেস পেয়েছিল প্রায় ৪৩ শতাংশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ