Advertisement
Advertisement
Gujarat

রাজকোট অগ্নিকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা, ‘আমজনতার নিরাপত্তা কোথায়?’ প্রশ্ন গুজরাট হাই কোর্টের

উদ্বেগ প্রকাশ করে গুজরাট সরকারের কাছে দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ রিপোর্ট চাইল আদালত।

Gujarat HC takes suo motu cognisance of Rajkot gaming zone fire
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:May 26, 2024 2:52 pm
  • Updated:May 26, 2024 2:59 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) রাজকোটে গেমিং জোনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। মৃতদের মধ্যে ৯টি শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বেসরকারি এই গেমিং জোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ডামাডোলের মধ্যে গুজরাট হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করে গোটা ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।  

বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব এবং দেবান দেশাইয়ের বেঞ্চে গেমিং জোন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকার এবং পৌর নিগমের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। ঠিক কোন আইনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গেমিং জোন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, দ্রুত তা জানতে হবে। গোটা ঘটনায় ‘বাকরুদ্ধ’ আদালত এই ঘটনাকে ‘মানুষের তৈরি বিপর্যয়’ বলেছে। প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করে বেঞ্চের মন্তব্য, “সম্ভবত গুজরাট কম্প্রিহেনসিভ জেনারেল ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল রেগুলেশনস (GDCR) এর ফাঁক-ফোকরের সুবিধা নিয়ে অবৈধ বিনোদন পার্কের চালানো হচ্ছিল।” আগামীকাল ২৭ মে এই মামলার পরবর্তী জরুরি শুনানি হবে।

Advertisement

 

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজকোটের গেমিং জোন অগ্নিকাণ্ড: ছিল না ফায়ার লাইসেন্সই!]

এদিকে তদন্ত শুরু হতেই দুটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে রাজকোটের গেমিং জোন নিয়ে। জানা গিয়েছে, কোনও ফায়ার লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল গেমিং জোনটি। পাশাপাশি ওই জোনের এক্সিট গেটের সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। জানা গিয়েছে, ‘টিআরপি’ নামের ওই গেমিং জোনে এমনিতে ভিড় থাকত। কিন্তু শনিবার সেখানে মাত্রাছাড়া ভিড় হয়। ৯৯ টাকায় বিশেষ ছাড়ে টিকিট মেলায় অনেকেই আসেন গেম খেলতে। কিন্তু আচমকাই আগুন লেগে যায় সেখানে। মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। তবে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত ছাড়া যথার্থ কারণ বলা যাবে না।

 

[আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া জোটে ‘প্রধানমন্ত্রীর মুখ’ কে? প্রশ্নের জবাবে কী বললেন খাড়গে]

রাজকোটের (Rajkot) মেয়র নয়না পেধাদিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বলেছেন, ”আমরা তদন্ত করে দেখব কী করে এত বড় একটা গেমিং জোন কোনও ফায়ার এনওসি ছাড়াই চলছিল। এর ফল কী হতে পারে সেটা সবার কাছে পরিষ্কার। এই ইস্যুতে কোনও রকম রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না।” তাছাড়া মাত্র একটি এক্সিট গেট থাকায় আগুন লাগার পর ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় সেখান থেকে বেরনো নিয়ে। এপ্রসঙ্গে রাজকোটের ফায়ার অফিসার ইলেশ খের সাংবাদিকদিরে বলেছেন, ”তৈরি করা অস্থায়ী কাঠামোর ভিতরেই আটকে পড়েছিলেন বহু মানুষ। কেননা প্রবেশদ্বারের অংশটা ভেঙে পড়েছিল। ফলে বেরিয়ে আসাটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ