Advertisement
Advertisement
Virat Kohli

টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশের সেঞ্চুরি, কোহলির ‘বিরাট’ রেকর্ড, বেঙ্গালুরুর পাঞ্জাব জয়

ফিনিশারের ভূমিকায় কার্তিক সফল।

Virat Kohli plays gem of an innings, RCB wins it in style against Punjab Kings

দুরন্ত কোহলি। গর্জে উঠল তাঁর ব্যাট। ছবি- সোশাল মিডিয়া থেকে।

Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:March 25, 2024 11:14 pm
  • Updated:March 25, 2024 11:36 pm

পাঞ্জাব কিংস : ১৭৬/৬ (ধাওয়ান-৪৫, জিতেশ- ২৭)
আরসিবি: ১৭৮/৬ (কোহলি- ৭৭, কার্তিক- ২৮*)
৪ উইকেটে জয়ী আরসিবি। 
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলি মানেই রেকর্ড আর রেকর্ড। তিনি মনে করিয়ে দেন সেই মিডাস  রাজাকে। যা ধরেন তাতেই সোনা ফলান।
এবারের আইপিএলে  নামার আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজে নামেননি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেমেছিলেন। তাও হয়ে গিয়েছে কয়েকমাস। সেই কোহলি সোমবার আরসিবিকে জেতালেন। সোশাল মিডিয়ায় লেখা হল, ‘হোলি কোহলি হ্যায়’। কোহলি রানের হোলি খেললেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে।

পাঞ্জাব জয় করতে কোহলি ক্যাচ ধরায় নজির গড়েছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৭৩টি ক্যাচ ধরলেন কোহলি। ছাপিয়ে গেলেন ‘মিস্টার আইপিএল’ সুরেশ রায়নাকে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: দর্শক কটাক্ষে কোণঠাসা হার্দিক, ভক্তদের মন জিতবেন কী করে? জানালেন কিংবদন্তি লারা]

ব্যাট হাতেও নজির গড়লেন। এদিন হাফ সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করে ফেললেন কোহলি। ভারতীয় হিসেবে এমন রেকর্ড নেই কারওরই। কোহলির আগে রয়েছেন কেবল ক্রিস গেইল (১১০), ডেভিড ওয়ার্নার (১০৯)। তার পরেই কোহলি (১০০)।
চেজমাস্টার বিরাট কোহলি এই আইপিএলে নিজের প্রথম পঞ্চাশ করে ফেললেন। আরসিবিও প্রথম জয় পেল। গ্যালারিতে উঠল সেই বিরাট ধ্বনি। পাঞ্জাবের বোলাররা বুঝতে পারলেন না কোন লেন্থে বল করবেন তাঁকে। 

Advertisement


সোমবার টস জিতে পাঞ্জাবকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বেঙ্গালুরু। জনি বেয়ারস্টো, শিখর ধাওয়ান, লিভিংস্টোনের মতো ব্যাটার রয়েছেন পাঞ্জাবে। ধাওয়ানের (৪৫), প্রভসিমরনের (২৫), কুরান (২৩), জিতেশ শর্মার (২৭) সৌজন্যে পাঞ্জাব ১৭৬ রান তোলে। 

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই রান মন্দ নয়। শুরুতে উইকেট তুলে নিতে পারলে চাপে রাখা যাবে প্রতিপক্ষকে। তার উপরে পাঞ্জাবের রয়েছে রাবাডার মতো বোলার। তিনি যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন।

শুরুতেই কিন্তু দ্রুত উইকেট পতন হয় আরসিবির। দু প্লেসি (৩), ক্যামেরন গ্রিন (৩), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩) অল্প রানে ফিরে গেলেও বিরাট কোহলি অন্য অবতারে ধরা দেন। মাত্র ৪৯ বলে ৭৭ রান করেন তিনি। ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। যখন মনে হচ্ছে কোহলি একাই ম্যাচ শেষ করে ডাগ আউটে ফিরবেন, তখনই কাহানিতে টুইস্ট। হর্ষল প্যাটেলের বলে হরপ্রীত ব্রারের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। তার পরেই ফের উইকেট হারাল বেঙ্গালুরু। অনুজ রাওয়াতকে ডাগ আউটে ফেরালেন কুরান।
হঠাৎই প্রমাদ গুনতে শুরু করেন আরসিবি ভক্তরা। ম্যাচ হারার ভয় ঢুকে পড়ে আরসিবি-র সাজঘরে। কোহলির এরকম দুরন্ত ইনিংসের পরেও কি ম্যাচ হারতে হবে? ভক্ত-অনুরাগীদের মনে এমন প্রশ্ন ঝড় তুলেছিল।
কিন্তু চাপের মুখে কার্তিক আর মহিপাল অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন। তাঁরা লড়াইয়ে ফের ফিরিয়ে আনেন আরসিবিকে। এসব ক্ষেত্রে দীনেশ কার্তিক ফিনিশারের ভূমিকা অবলম্বন করে থাকেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বেঙ্গালুরুর দরকার ছিল ১০ রান। কার্তিক তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন আরসিবিকে। 

[আরও পড়ুন: ফিল্ডার কোহলির ‘বিরাট’ নজির, আইপিএলে গড়লেন আরও একটি রেকর্ড]

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ