Advertisement
Advertisement
Mount Everest

এভারেস্ট ছুঁয়েই মরণের কোলে! ব্রিটিশ পর্বতারোহী ও নেপালি শেরপার প্রাণ কাড়ল ‘মৃত্যু উপত্যকা’?

২১ মে ভোর ৪টে ৪০ নাগাদ পিটারসন ও প্যাস্টেনজি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গজয় করেন।

British climber and Nepali guide feared dead in Mount Everest
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 26, 2024 10:39 am
  • Updated:May 26, 2024 10:39 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট ছুঁয়েও মৃত্যুর স্পর্শ বোধহয় এড়াতে পারেননি তাঁরা। ব্রিটিশ (British) পর্বতারোহী ড্যানিয়েল পিটারসন ও তাঁর গাইড নেপালি প্যাস্টেনজি শেরপা সম্ভবত মারা গিয়েছেন। এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। দাবি বিবিসির। মনে করা হচ্ছে এভারেস্ট জয়ের পর ‘মৃত্যু উপত্যকা’ই প্রাণ কেড়েছে তাঁদের। তিব্বতের দিকের ওই অংশ অসম্ভব খাড়াই। ওই অঞ্চলের দুর্গমতাই দুই আরোহীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে আশঙ্কা।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৬ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত ওই অঞ্চল ‘মৃত্যু উপত্যকা’ নামেই কুখ্যাত। জানা যায়, সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা খুবই কম। যার সঙ্গে উচ্চতাজনিত অসুখের প্রকোপ ঘটলে মৃত্যু অবধারিত। ৩৯ বছরের পিটারসন ও ২৩ বছরের প্যাস্টেনজিরও তাই হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁরা একটি ১৫ জনের দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু সেই দলের বাকিদের খোঁজ মিললেও নিখোঁজ হয়ে যান দুজন। ২১ মে ভোর ৪টে ৪০ নাগাদ পিটারসন ও প্যাস্টেনজি শৃঙ্গজয় করেন বলেই জানানো হয়েছে। কিন্তু এর পরই অবতরণের সময় প্রায় ৮ হাজার ৮০০ মিটার উচ্চতায় নিকটবর্তী হিলারি স্টেপে তুষারঝড় শুরু হওয়ার পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

Advertisement
 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by LAKPA SHERPA 🇳🇵 (@lakpa_mountaineering)

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের ভারতের কান জয়, এবার গ্রাঁ প্রি পায়েল কাপাডিয়ার, পুরস্কার পেয়ে কী বললেন?]

এই অভিযানের আয়োজক ‘৮কে এক্সপিডিশনস’-এর তরফে বলা হয়েছে, আচমকাই তুষারঝড় শুরু হওয়ার পর দলটির সদস্যরা পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোনও খোঁজ মেলেনি পিটারসন ও প্যাস্টেনজির। ফলে বাড়ছে আশঙ্কা। প্রসঙ্গত, এবারের মরশুমে এর আগে পাঁচজন পর্বতারোহী প্রাণ হারিয়েছেন এভারেস্টে অভিযান করতে গিয়ে।

উল্লেখ্য, সাধারণ ভাবে এভারেস্টে (Mount Everest) অভিযানের সবচেয়ে ভালো সময় মার্চ থেকে মে মাস। আবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর, এই সময়টাও আবহাওয়া খুব ভালো থাকে। বছরের এই সময়ে তাই নামে পর্বতারোহীদের ঢল। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতেও বিপদ সব সময়ই কিন্তু বসে থাকে ঘাপটি মেরে। যে কোনও সময় শুরু হতে পারে তুষারঝড়। যার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। দৃষ্টিগ্রাহ্যতা শূন্যে পৌঁছতে পারে। এছাড়া ‘মাউন্টেন সিকনেস’ যে কোনও সময় আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে। এবার পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল। খুম্বু হিমবাহের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এই বছর মরশুম কার্যতই শুরু হয়েছে এপ্রিলের একেবারে শেষে। অথচ মে শেষ হতে না হতেই পর পর পর্বতারোহীদের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ল আতঙ্ক।

[আরও পড়ুন: চিকিৎসা চলাকালীনই দিল্লির শিশু হাসপাতালে আগুন, পুড়ে মৃত অন্তত ৭ সদ্যোজাত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ