মণিদীপা কর: বাচ্চা থেকে বুড়ো। শীতের দুপুরে নরম রোদে পিঠ দিয়ে কমলালেবুর কোয়ায় কামড় দেওয়ার মজাই আলাদা। ডাক্তারবাবুরা কমলালেবুর উপকারিতা হিসাবে ভিটামিন ‘সি’-র গুণাগুণ ব্যাখ্যা করে থাকেন। রূপ সচেতন নারী আবার কমলা লেবুর খোসা বেটে তার সঙ্গে জলপাই তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। আর মা-ঠাকুমারা সন্দেশ, পুডিংয়ে তরতাজা সুবাস পেতে মিশিয়ে দেন কমলালেবুর খোসা বাটা। কিন্তু কমলার যে উপকারিতার কথা কেউ মুখ ফুটে বলেন না তা হল, শীতে জড়োসড়ো কাম আসক্তিকে ফের পুনরুজ্জীবিত করে তোলে এই রসালো ফল।
কাজের চাপ ও মানসিক অবসাদে যখন যৌন জীবন তলানিতে গিয়ে ঠেকে ঠিক তখনই কমলালেবু টু-ইন-ওয়ান এফেক্ট দেখায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জাপানের সাপ্পোরো মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি এবং সাপ্পোরো তোহো হাসপাতালের চিকিৎসকরা ১২০ জনের উপর পরীক্ষা করে দেখেছেন, মাত্র দু’কাপ কমলালেবুর রস যেমন স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ কমিয়ে মানসিক উদ্বেগ ও রক্তের চাপ কমায়, তেমনই বাড়ায় কামোন্মাদনা।
[ ইউটিউব বন্ধ থাকলেই পোয়াবারো পর্নহাবের! ]
জাপানি বিশেষজ্ঞদের দাবি, কমলালেবুর মূল পুষ্টি উপাদান অর্থাৎ ভিটামিন-‘সি’-র সুবাদেই নারী ও পুরুষের যৌন জীবন স্বাভাবিক ছন্দে চলে। লেবুর সাইট্রাস শুক্রাণুর স্বাস্থ্য সহায়ক। পাশাপাশি যৌন আসক্তি বাড়ায়। শুধু পুরুষ শরীরেই নয়, নারী শরীরেও রয়েছে কমলালেবুর বিশেষ ভূমিকা। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা গবেষণা চালিয়ে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন, স্ত্রী দেহে যৌন হরমোন ক্ষরণে বিশেষ সহায়তা করে ভিটামিন-‘সি’। একটু-আধটু নয়, নিয়মিত ভিটামিন-‘সি’ খাওয়ার ফলে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় ৫৩ শতাংশ। ফলে যাঁদের গর্ভধারণে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত কলমালেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবার পরিকল্পনাকে সরিয়ে রেখে নিছক যৌন তৃপ্তিতেও মরশুমের রাজা এই ফলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তা সে দার্জিলিংয়ের হোক বা নাগপুরের। লেবুর প্রতি ফোটা রসে রসালো হয়ে উঠবে দাম্পত্যের রসায়ন।
[ শীতল দাম্পত্যে উষ্ণতা ফেরাবে মধু ]